অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক:
জানুয়ারিতে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৬ কোটি ডলার, যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১৫.২৪ শতাংশ বেশি
বৈধ চ্যানেলে প্রবাস আয় বাড়াতে সরকারের নানা উদ্যোগে সাড়া মিলছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে প্রবাস আয় এসেছে ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯৬ কোটি ডলার, যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১৫.২৪ শতাংশ বেশি। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স ছিল ১৭০ কোটি ডলার। এতে বোঝা যাচ্ছে ডলার সংকটের এই সময়ে দেশে প্রবাস আয় বাড়ছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারির ১৭ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রবাসীদের জানায়, ‘বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করুন, প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন।’ হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য এভাবে আহ্বান জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ছাড়া রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
বিদায়ি ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।