অনলাইন ডেস্ক:
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেয়ার শঙ্কায় এই যুদ্ধ। আর এমন চলতে থাকলে জ্বালানি তেলের বাজার আরো অস্থির হয়ে উঠবে। যার ফলে বিশ্ব আরেকটি অর্থনৈতিক সংকট দেখবে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক উত্তরণে গতানুগতিক ব্যবস্থায় না থেকে মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে জোর দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটের কারণে তেলের দাম বাড়তে পারে। যার প্রভাব পড়বে সর্বক্ষেত্রে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ উত্তেজনার কারণে বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ০.৫০ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৩.১৪ ডলার।
এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ০.২১ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৭.২৯ ডলার।
আইএমএফের ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল কমিটি অব দ্য বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের অংশ নেওয়ার প্রথা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থসচিব ও ডেপুটি গভর্নর সভায় যোগ দেন। এদিকে নতুন করে বিপাকে পড়ার আগেই সংকটে থাকা দেশগুলোর কর কাঠামো ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এমডি ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে চাইলে অর্থনৈতিক কাঠামোর সংস্কার করতে হবে।’
এ সময় আইএমএফ সভাপতি ও সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মেদ আলজাদান বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক বিষয় হলো ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। কোনো সন্দেহ নেই যে এ কারণে অর্থনীতি আবারও সংকটে পড়বে। দরিদ্র মানুষের স্বার্থেই সংঘাত বাদ দিয়ে সবাইকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে।’