অর্থ ও বার্ণিজ্য:
এখন থেকে আধাঘণ্টা আগেও ফোর্বসের বিশ্ব ধনীর তালিকায় আদানি ছিলেন ৯ নম্বরে। ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে সাত নম্বর থেকে তিনি ৯-এ নেমে এসেছিলেন। এ পতন অব্যাহত রয়েছে। এবার ৪.২ বিলিয়ন ডলার হারানোর পর এই মুহূর্তে তার অবস্থান রয়েছে ১০ নম্বরে।
৮৪.৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছেন আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। এদিকে আদানির বর্তমান সম্পদ এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৮৩.৯ বিলিয়ন ডলারে।
হিনডেনবার্গ রিসার্চের একটি বিশেষ প্রতিবেদনের পর বেশ ভালো বিপদেই পড়েছেন ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। আদানিগোষ্ঠীর শেয়ারমূল্যে রীতিমতো ধস নেমেছে। এতে তিনি ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় ১০ নম্বরে নেমে গেছেন।
ফোর্বসের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকায় ১০ নম্বরে গৌতম আদানি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৮৩.৯ বিলিয়ন ডলার। এক দিনের ব্যবধানে তার সম্পদ কমেছে ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকায় আদানির আরো অবনমন হবে বলেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে ব্লুমবার্গের সেরা ধনীর তালিকায়ও আদানির অবনমন হয়েছে। সেই ইনডেক্সে দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকা থেকেই বাদ পড়েছেন তিনি। বর্তমানে বিশ্ব ধনীর তালিকায় তিনি আছেন ১১ নম্বরে।
এর আগে, ২০২১ সালের নভেম্বরের হিসাবে জানা গিয়েছিল, ২০১৯-২০২০ সালে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। সে তুলনায় আম্বানির সম্পদ একই সময়ে বেড়েছিল মাত্র ২৫০ শতাংশের মতো। ফোর্বস পত্রিকার ‘রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ’-এর হিসাব বলছে, বিশ্বের ১১তম ধনীর জায়গাটিও এখন আদানির।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারের পতন হলেও আদানি গ্রুপ খুব একটা ধাক্কা খায়নি। তাতেই বাণিজ্যগোষ্ঠীটির এই উত্থান বলে দাবি করা হয়েছে।
আদানি ও আম্বানি ছাড়া ভারতে ধনকুবেরদের প্রথম পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি ও লক্ষ্মী মিত্তাল। গুজরাটকেন্দ্রিক আদানি গ্রুপ মূলত বন্দরসংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এখন তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাখা বিস্তার করেছে।
অন্যদিকে গুজরাটেই বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চলেছে আম্বানির রিলায়েন্সও। গুজরাটে মোট ৫.৯৫ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য সমঝোতাপত্র সই করেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী।
সূত্র : ফোর্বস, ব্লুমবার্গ