রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন

দেখে আসুন শ্রীমঙ্গলের বহুরূপ

বিজয়ের কাগজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৩৮ বার পঠিত
ফাইল ছবি

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণপিপাসুদের একটি প্রিয় নাম। এটি আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন নগরখ্যাত অঞ্চল। এখানে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে অজস্র স্থান। সবুজ প্রকৃতির মায়াবী রূপের কারণে শ্রীমঙ্গলের রয়েছে আলাদা পরিচিতি। ফলে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শ্রীমঙ্গলের অবস্থান প্রথম সারিতে।

বাগান
Tea
শ্রীমঙ্গলে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। পাহাড়ি এই এলাকায় মাইলের পর মাইল চা বাগান। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের চায়ের একটি অংশ এই বাগানগুলো থেকেই পাওয়া যায়। যা বিদেশে রফতানি হয়। এখানে চা বাগানের পাশাপাশি রয়েছে রাবার, লেবু ও আনারসের বাগান।

চিড়িয়াখানা

শীতেশ নামক স্থানীয় এক প্রকৃতিপ্রেমী ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন শীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা নামে মিনি চিড়িয়াখানা। তার সংগ্রহে যুক্ত হয়েছে অনেক প্রজাতির পশুপাখি। সাদা বাঘ, মুখপোড়া বানর, সজারু, হরিণ, উল্লুক, ধনেশ পাখি, একাধিক প্রজাতির কাঠবিড়ালি এর অন্যতম। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন থেকে চিড়িয়াখানায় যেতে পনেরো টাকা রিকশা ভাড়া লাগে। ভেতরে প্রবেশ করতে দশ টাকার টিকিট কাটতে হয়।

চা কারখানা

শ্রীমঙ্গলে ‘টি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ হতে পারে পরিদর্শনের অন্যতম একটি স্থান। এখানে দেখতে পাবেন চা প্রস্তুত প্রণালি। বাগানের ভেতর শ্রমিকদের সঙ্গে খানিকটা সময়ও কাটানো যেতে পারে। টিলার উপর বিশাল জায়গা নিয়ে নির্মিত রিসোর্টে রয়েছে দশ-বারোটি কটেজ। বড় রেস্তোরাঁর সঙ্গে পুরনো আমলের সুইমিংপুল। পাশেই নেট দিয়ে ঘেরা জায়গায় বেশ কয়েকটি চিত্রল হরিণ ঘুরে বেড়ায়।

মাধবপুর লেক

বিকেলের সময়টা কাটাতে পারেন মাধবপুর লেকে। সমতল থেকে উঁচু পাহাড়ে লেকটির অবস্থান। সময় করে লেকের চারপাশ ঘুরতে পারলে নিঃসন্দেহে তা হবে এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

লাউয়াছড়া উদ্যান

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ২০-৩০ মিনিট লাগবে সিএনজি অথবা অটোরিকশায় করে গেলে। উদ্যানে ঢুকতে টিকিট কাটতে হয়। জনপ্রতি বিশ থেকে ত্রিশ টাকা নিবে হয়তো। লাউয়াছড়ার ভেতর দিয়ে চলে ছেছে ট্রেন লাইন। দু’পাশে বন, মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। এমন কয়েকটা বন্য ট্রেইল রয়েছে লাউয়াছড়ায়।

হামহাম জলপ্রপাত

এটিও শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে ৩৫-৪০ কিলোমিটার দূরের খুব সুন্দর ঝরনা। যারা ট্র্যাকিং করতে পারবেন, একটানা ২-৩ ঘণ্টা পাহাড়ি পথে, ঝিরি পথে হাঁটতে পারবেন, তারা বর্ষা মৌসুমে একদিন সময় বাড়িয়ে যেতে পারেন। শহর থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা লাগে রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্ট দিয়ে কলাবন পাড়ায় যেতে। সেখান থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্র্যাকিং করে যেতে হয় হামহাম ঝরনায়।

চা কেবিন

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে গিয়ে সাত রং চায়ের স্বাদ গ্রহণ করবেন না? একই গ্লাসের মধ্যে স্তরে স্তরে সাজানো সাত রং চা! অবশ্যই ৭০ থেকে ৯০ টাকা খরচ করে এই চা খাবেন।

খাবার

এখানে খাওয়ার জন্য পানসী রেস্টুরেন্ট, নূর ফুডস, কুটুমবাড়ি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট, চ্যাপস্লী ইত্যাদি খুব জনপ্রিয়। শ্রীমঙ্গলে খাবারের দামও তুলনামূলক কম। খেতে মুখরোচকও বটে।

অবস্থান

শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য বেশ কিছু দারুণ কটেজ, রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। যা অন্য এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। শ্রীমঙ্গলে থাকার জায়গা হিসেবে টি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘টি রিসোর্ট’ অত্যন্ত চমৎকার একটি জায়গা। এছাড়া যেকোন রিসোর্টে সুবিধামতো রুম ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2023 Dailybijoyerkagoz
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com