অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করলেই দেশ এগিয়ে যাবে। আর সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের টেনে তোলার দায়িত্ব নারী নেতাদের।
বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক সুযোগ করে দিয়েছে। এক হাজার ৫৫৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই যোগ্য। তার মধ্যে ৪৮ জন বাছাই করা কঠিন কাজ। কাউকে অবহেলা করে নয়, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু নিজে কী পেলাম তা নয়, মানুষের প্রতি সহনশীল হতে হবে ও জনগণের সেবা করতে হবে। আগামীতে স্মার্ট সমাজ গড়ে তোলা হবে। দেশের জনগণ কোনো ক্ষেত্রেই আর পিছিয়ে থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নমিনেশন না পেলেও নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যেন হারিয়ে না যায়।
মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন নারীরা সরাসরি ভোটে অংশ নিতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হবেই, এদের ছাড়া যাবে না।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সরাসরি ভোটে আরো বেশি নারী নির্বাচন করা হবে। শুভেচ্ছান্তে স্মরণ করেন ৭১ সালে নির্যাতিতা মা বোনদের।
বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনেছিলেন বলেই, নারীরা আজ উপার্জনে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতি কাতর হয়ে উঠেন। ৭৫ পরবর্তী টানা ২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামী পথ পরিক্রমায় মেজর জিয়া, এরশাদ কীভাবে দেশকে উল্টো রথে তুলেছিলেন, মনে করিয়ে দেন সেসব কথা।
প্রশাসন, জুডিশিয়ারি ও স্বশস্ত্র বাহিনী কিংবা রাষ্ট্রীয় বড় কোনো পদে নারীদের জায়গা ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সুযোগ করে দেয়। এখন তাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের অনেক দায়িত্ব, এই নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যেন না ফুরায়। জায়গাটা করে নিতে হবে। ভবিষ্যতে সরাসরি ভোটে আরো বেশি নারী নির্বাচন করা হবে। নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, একেবারে শেষের তিন মিনিটে মনোনয়ন ফরম দেখে মনে হচ্ছে নারী জাগরণ ঘটে গেছে। কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এই কঠিন পথে, চক্রান্ত কখনোই পিছু ছাড়েনি, তবু শপথে অটল থেকে দরদ ও আন্তরিকতা নিয়ে জনগণের পাশে থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু সংরক্ষিত আসনে নয়, আগামীতে সংসদ নির্বাচনে নারীদের সংখ্যা বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ।
১৫ বছরে দেশে নারী জাগরণ হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক সু্যোগ করে দিয়েছে সরকার।