বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি বাড়ছে

বিজয়ের কাগজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৫ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:
যান চলাচলের জন্য আজ রবিবার ভোর ৫টা থেকে চালু করা হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সকালের দিকে যান কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বাড়তে থাকে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি বাস একেবারে নেই বললেই চলে। শুধু কিছু বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা এলাকা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আজ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে যান চলাচল করতে পারছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে উড়ালসড়কে যানবাহন কম উঠলেও, বেলা বাড়ায় সঙ্গে গাড়ি সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রথমদিনে উড়ালসড়ক উঠা বেশিরভাগ যানবাহন-ই ব্যক্তিগত গাড়ি।

বিভিন্ন পয়েন্টে টোল বুথ আছে। সেখানে নির্ধারিত টোল দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ১০ থেকে ১৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট আসা যাচ্ছে।
ফার্মগেট এলাকায় কথা হয়েছে ইমরান হোসেনের সঙ্গে।

তিনি বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে এক্সপ্রেসে ব্যবহার করে ফার্মগেট এসেছেন। ইমরান হোসেন বলেন, অনেক সময় এ পথ আসতে কয়েক ঘণ্টাও জমে আটকে থাকতে হয়। আজ মাত্র ১৩ মিনিটে চলে এসেছি। এক্সপ্রেসে চালু হয় আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।
এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন এবং হেঁটে চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ।

উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা; প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাবের সামনের র‌্যাম্প ব্যবহার করবে। আর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার জন্য বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ; মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশের র‌্যাম্প ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে দক্ষিণ থেকে উত্তর অভিমুখী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন; বনানী রেলস্টেশনের সামনের র‌্যাম্প ব্যবহার করবে। নামার জন্য মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক; কুড়িল বিশ্বরোড এবং বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনের র‌্যাম্প ব্যবহার করবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

তবে আপাতত সাড়ে ১১ কিলোমিটার মূল সড়কের সঙ্গে ১১ কিলোমিটার র‍্যাম্পও চালু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি চালু হবে। বনানী ও মহাখালীর র‍্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি। নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারে সংশ্লিষ্টরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2023 Dailybijoyerkagoz
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com