অনলাইন ডেস্ক:
খেলাধুলায় বাংলাদেশ যে এগোচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তার ভিত তৈরি করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে খেলাধুলার বিকাশে শেখ কামালের অবদানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, খেলাধুলায় বাংলাদেশ যে এগিয়ে তার ভিত তৈরি করে দেয় শেখ কামাল। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাকে এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না।
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারত।
ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সব দিকেই বাংলাদেশ অগ্রগামী এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন।
তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
জাতির সার্বিক উন্নয়নে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নতিও জরুরি এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি বিভাগে ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ বিতরণ করেন।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন হকির সাবেক তারকা আবদুস সাদেক।
সেরা ক্রীড়াবিদের স্বীকৃতি পেয়েছেন নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ এবং গত এসএ গেমসের সোনাজয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম।
উদীয়মান খেলোয়াড়/ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে তরুণ টেবিল টেনিস তারকা মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় পুরস্কার পেয়েছেন।
ক্রীড়া সংগঠকের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- তৃণমূল পর্যায়ে সাঁতার নিয়ে কাজ করা আমিরুল ইসলাম, নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করা মালা রানী সরকার ও ফজলুল ইসলাম।
ক্রীড়া ফেডারেশন হিসেবে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন।
এছাড়া ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক/স্পন্সর ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি), ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে খন্দকার তারেক মো. নুরুল্লাহ এবং ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে আতাহার আলী খান পুরস্কার পেয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে এক লক্ষ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।