অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া ও তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিনিধি দলটি চার দিনের সফরে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় নিয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার এশিয়া দপ্তরের উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর বাইরে মার্কিন দলটি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতাসহ আরো কয়েকজনের সঙ্গে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। আজরা জেয়া ও তাঁর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকটিই আজরা জেয়ার মূল বৈঠক। সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশ ভোজে অংশ নেবেন। এর আগে বিকেলে বা সন্ধ্যায় আজরা জেয়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে। ওই নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন। ভিসানীতি ঘোষণার পর দেশটি থেকে এখন পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।