অনলাইন ডেস্ক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কারণ প্রান্তিক মানুষ তাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগ করে সমাধান করতে সক্ষম।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয় বরং এ দুই দেশের উষ্ণ সম্পর্ক জনগণের মধ্যেও বিস্তৃত। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হওয়ায় জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের হৃদ্যতা আরো গভীর হয়েছে।’
‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখী নীতির ফলে একটা সময় যখন দেশের দারিদ্রতার হার ৭০ শতাংশ ছিল তা ২০২৩ সালে মাত্র ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই উন্নয়নের সুফল দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পৌঁছেছে বলেই আজ দারিদ্রতার হার কমেছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ১৭ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৭০ বিলিয়ন ডলার জিডিপিতে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় আমরা এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’
‘দায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা ও জেলা পরিষদের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য নীতিমালা করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘যার ফলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গতিশীল হয়েছে।’
উপজেলা পরিচালনা এবং উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি)-এ জাপান সহযোগিতা করায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের পুনর্গঠনে জাপানের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
এ সময় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরনে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি কোমোরি তাকাশি এবং ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।