অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা। ছবি : কালের কণ্ঠ
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তি জীবনে মুজিব ছিলেন, আর রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু হয়েছেন। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে জানা জরুরি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তোমার আলোয় উজ্জ্বল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
শামসুল হক টুকু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ডিজিটাল বাংলাদেশ শেষ পর্যায়ে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা এসেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাগরিক সংখ্যা যদি বৃদ্ধি না হয়, তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। সে জন্য আর ৮ থেকে ৯ মাস পরে একটা পরীক্ষা হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে শক্তির ওই পরীক্ষায় মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘বিশ্বব্যবস্থায় তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, যার জন্য তিনি নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের সঙ্গে যখন মিলিত হতেন, তখন অবহেলিত মানুষের কথা বলতেন। তার নিজের কী হবে, তা তিনি ভাবতেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের ভেতরে ও বাইরের শত্রুদের মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাচ্ছেন। অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে মাদক মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অন্যতম। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছিলেন বলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত। সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ৩ই ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দেশে শান্তি নিশ্চিত করেছেন। দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বিশ্বের কাতারে এগিয়ে নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংগঠনের আহ্বয়াক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশীদ আসকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ড. বিমান বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।