মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

সন্তানের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলার ভয়ংকর ফলাফল

বিজয়ের কাগজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮৫ বার পঠিত

 লাইফস্টাইল ডেস্ক:

যদি দেখেন আপনার বাচ্চা হোমওয়ার্ক ঠিক সময়ে না করে বা খাবার না খেয়ে কেবলই দুষ্টুমি করে তাহলে তার উপর চিৎকার করবেন না বরং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। ভুল থেকে কী ভাবে সঠিক শিক্ষা নেয়া যায় তার চেষ্টা করতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য শিশুদের উৎসাহিত করুন, এতে, ভবিষ্যত আরো ভালো হয়ে উঠবে। চিৎকার করে কথা বললে, বাবা-মায়ের এমন আচরণ সন্তানদের উপর কী কী প্রভাব ফেলে দেখে নিন।
বিকল্প হিসেবে কী কী করতে পারেন: সন্তানের দুষ্টুমি থেকে রেহাই পেতে ড্রয়ারের জন্য চাইল্ড লক ইনস্টল করে নিন। মানে, বুদ্ধি দিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। বাচ্চাকে শান্ত হয়ে বোঝান যে সে খারাপ ব্যবহার করছে, যেটা একেবারেই কাম্য নয়। আপনি যদি মনে করেন তার উপর চিৎকার বা মারধর করাই সঠিক পদ্ধতি তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এতে বাচ্চার মানসিক ক্ষতি হতে পারে।

বন্ধুদের সঙ্গে মার-পিট: অনেক সময় বাবা-মায়েরা কথা না শুনলে তাদের বকাঝকা করে দুষ্টুমি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। আপনি যদি এই জিনিসটি করেন তবে সেও স্কুলে গিয়ে তার বন্ধু-বান্ধদের সঙ্গে কথায় কথায় মারপিট করতে থাকবে এতে আপনার সন্তানেরই ভবিষ্যত খারাপ হবে।

নেগেটিভ এফেক্ট: কথায় কথায় চিৎকার করা শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই নেতিবাচক প্রভাব সন্তানের মস্তিষ্কের রসায়ন খারাপ করে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সবসময় চেঁচামেচি করলে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত পড়ে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়।

মা-বাবার প্রতি ক্ষোভ: বাচ্চার উপর সব সময় খুঁত ধরার চেষ্টা করলে বাবা-মায়ের উপর ক্ষোভ সঞ্চার হতে পারে। এর ফলে ধীরে ধীরে আরো দূরে সরে যেতে শুরু করবে। সমীক্ষা করে দেখা গেছে রাগ পুষে পুষে ভবিষ্যতে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বাচ্চারা।

সূত্র: এই সময়

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2023 Dailybijoyerkagoz
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com