নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উপ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। এ নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য অধিদপ্তর, পিআইডি সম্মেলন কক্ষে পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি ডিসেম্বর মাসে তো বলেছিল সরকারকে বিদায় দেবে, সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বরে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা (বিএনপি) পড়ে গেছে। এরপর থেকে তারা হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি অনুধাবন করতে পেড়েছে সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হয় না।
তিনি বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে। সুতরাং সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের (বিএনপি) কোমর ভেঙে গেছে। সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমেই পরিস্ফুটিত হয়েছে। আমি সব সময় আশা করবো বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নেই সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথা বলে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপ-নির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন, সেখানে অনেক ভালো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মনিটরিং মুন্সি জালাল উদ্দীন।