অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের যা প্রয়োজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। যখনই সেই পদক্ষেপ নিলেন, তখন এলো চরম আঘাত- ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট। জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, একটা রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো ক্ষেতে ফসল হয়নি, যা কিছু ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারা দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়কার করে দেয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি ছিল গৃহহারা, আর এক কোটি মানুষ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই ধরনের অবস্থায় শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল, কলেজের সবগুলোর অবকাঠামো তৈরি করা, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় বই দেওয়া, ছেলে-মেয়ে, শিক্ষকরা যাতে পোশাক পরতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি করেছেন।
আজ (সোমবার) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার স্থাপন করছি। প্রথমে ঢাকায় করেছি। নভোথিয়েটার করার জন্য খালেদা জিয়া সরকারে এসেই দুইটা মামলা দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমি বলেছি, ভালো করে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। আমরা একনেকে যারা বসতাম সবাইকে একসঙ্গে মামলার আসামি করে। প্রায় এক ডজন মামলা দিয়েছিল। ২০০৭ সালে দিয়েছিল আরও ছয়টা। আমি বলেছি, সবগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।