অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন এবং আগে ও পরে কয়েক ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং ২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের আগের মধ্যরাত অর্থাৎ ৪ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৫ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযান (ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান ছাড়া) ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত এ ধরনের নির্বাচনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দিন এবং আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি নৌযান যথা লঞ্চ, স্পিডবোট, ইঞ্জিনচালিত যেকোনো ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। একই সঙ্গে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য এসব নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া প্রধান প্রধান নৌ-পথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে। একই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সব ধরনের নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এবং দূর পাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার লক্ষ্যে ডিসি বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।