বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

‘অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি আছে’

বিজয়ের কাগজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
  • ৪২ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:

জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন করেছেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি আছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

ডিএসসিসির বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার দিনে আমরা প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা করছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনোরকম সমস্যা যেন না হয়, সে কারণে আজ পরিদর্শনে এসেছি। আজ যেমন অল্প বৃষ্টি হয়েছে, সেরকম অল্প বৃষ্টি হলে জামাত আয়োজন করা অবশ্যই সম্ভব হবে। আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে তথ্য পেয়েছি যে, ঈদের দিন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। অতিবৃষ্টি হলেও, ঝড় হলেও যেন মুসল্লিরা সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোথাও যেন পানি না পড়ে এবং পানি পড়ার জায়গায় যেন জলাবদ্ধতা না হয়, সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

মানবিক কারণে কোরবানির কার্যক্রম দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সকলের কাছে বিনীত নিবেদন করব, দুই দিনের মধ্যেই—ঈদের দিন ও পরের দিন যেন কোরবানি করা হয়। তৃতীয় দিনের জন্য যেন কোনো পশু রেখে দেওয়া না হয়। আমরা দেখেছি, তৃতীয় দিনেও অনেকেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। সেটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। কারণ, আমাদের সব কার্যক্রমে জড়িত কর্মীদের ৭২ ঘণ্টার পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। তারা একটানা ৭২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাবে। তাদের দিয়ে আবার কাজ করানো অমানবিক হয়ে যায়। এজন্য আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করব।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে তদারকি এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব। গত বছর আমরা বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব। আমরা সফল হয়েছি। এবারও আমাদের সেরকম প্রস্তুতি আছে। বর্জ্য অপসারণে আমরা ৩৫০ এর বেশি যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। আমাদের প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তদারকি করব। এছাড়া, আমাদের কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট করে অঞ্চলভিত্তিক, ওয়ার্ডভিত্তিক এবং হাটভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা তদারকি করবে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এবারও আমরা সফল হব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বর্জ্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত থলে, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য যেসব সামগ্রী দরকার, সেগুলো আমরা দিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় হবে, জানিয়ে ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে সাচ্ছন্দ্যে জাতীয় ঈদগাহে আসার আহ্বান জানান। ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান তিনি। জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের ভেতরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান ডিএসসিসির মেয়র।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2023 Dailybijoyerkagoz
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com