অনলাইন ডেস্ক:

‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইট গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা ১০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে বিমানটি সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩ : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হচ্ছে সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে অধিকতর, সমন্বিত ও সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হওয়ার একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম। এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ করে দেবে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক, ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা, ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী কৈলাস সত্যার্থী এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন।

সম্মেলনে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত ও সম্প্রসারিত করতে এবং একটি যৌথ, সুসংগত ও সমন্বিত অঙ্গীকারের লক্ষ্যে সরকার এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের সংগঠন, জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ বুধবার তাঁর অবস্থানস্থলে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি সাক্ষাত্ করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনসে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন।

সাক্ষাতের পর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনসে ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছলে আইএলওর এডিজি ও আঞ্চলিক পরিচালক তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন। গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা বিছানো হবে এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

পরে তিনি আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় আইএলওর সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য ডিজির আয়োজিত একটি নৈশ ভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১৫ জুন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) অফিসে ডাব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর ‘এ টক অ্যাট দ্য ডাব্লিউইএফ’-এ তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সেখানে তিনি ডাব্লিউইএফের আয়োজনে ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।

সন্ধ্যায় ডাব্লিউটিও মহাপরিচালক ওকোনজো-আইওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানস্থলে সাক্ষাত্ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশে জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। ১৭ জুন তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস