অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো নাগরিক যেন গৃহীত উন্নয়ন কৌশলের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ বুধবার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুরের অধীন ইন্সটিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের উদ্যোগে ‘দ্যা রোল অফ পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি ইন এড্রেসিং পোভার্টি এন্ড ইনইকুয়েলিটি’ শীর্ষক সেমিনারে গেস্ট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেমিনারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কৌশল ও সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব বিবেচনায় টেকসই উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে ডেল্টাপ্লান-২১০০ প্রণয়ন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে অতিদরিদ্র শ্রেণির উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।’
‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সরকারের মূল লক্ষ্য’ উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, পাসপোর্টে মায়ের নাম লিপিবদ্ধকরণ, স্থানীয় সরকারে নারীদের প্রতিনিধিত্বকরণ, বিধবা ভাতা, ল্যাকটেটিং মায়েদের ভাতা, নারী শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি, ছয় মাস স্ববেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ সব ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।’