নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমানে কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। আগামী দিনে আরো নতুন মেগাপ্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। চীন কভিড মোকাবেলা করছে। এর পরও বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী মাসে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চীনের ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশের ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জন, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজে সব সময় পাশে থাকবে চীন।
আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলানগরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে চীন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ১২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নিবিড়ভাবে ‘ফ্যাসিলিটেটর’ (সমন্বয়কারী) হিসেবে কাজ করছে চীন। আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। এ খাতে চীনা সহায়তা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। চীনের সঙ্গে ‘ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ)’ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, ‘আমরা এই চুক্তি করতে প্রস্তুত আছি। এখন কিছু প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম চলছে।’ তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন প্রসঙ্গে বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে।
সাক্ষাৎ শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। চীনের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে, সেটি আরো ওপরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।’
তিনি আরো বলেন, ‘বন্ধুত্বের শ্রেষ্ঠ পরিচয় হলো ব্যবসা-বাণিজ্য ও সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো। সেটি করছে চীন। সেই সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আমাদের উৎসাহিত করছে।’