অনলাইন ডেস্ক:
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো রেললাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই পাতাল রেল হচ্ছে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায়। এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে মেট্রো রেলের ডিপো নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ডিএমটিসিএল।
প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রো রেল হবে উড়াল ও পাতালপথের সমন্বয়ে। দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে মেট্রো রেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট।
এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।
আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে ৯টি।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে পূর্বাচল রাজউকের মাঠ দলের নেতা-কর্মীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। আজ সকাল থেকেই মাঠে নেতা-কর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকনে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সমর্থকরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ডে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছেন। মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৩০০ ফুট সড়কে তোরণ ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পথঘাট।