নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তিন দেশের মনোনীত হাইকমিশনাররা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এদের মধ্যে চার অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হলেন- কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট। আর অপর তিনজন অনাবাসিক হাইকমিশনাররা হলেন- ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাঊল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ এবং কিংডম অফ ইসওয়াাতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ সবসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় তাদের দায়িত্ব পালনকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত ফেদেরিকো সালাম লোফটি এসময়ে বলেন, শীঘ্রই ঢাকায় তাদের দূতাবাস চালু হবে।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বঙ্গভবনে তাদের আগমনের সময়, অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে রাষ্ট্রদূতগণ সংস্কারকৃত বঙ্গভবনের তোষাখানা পরিদর্শন করেন।